Document Document
0 items.
Click here
No Image Available

Mustard oil 2liter

2

2liter

Product description

সে অনেক আগের কথা- সরিষার তেল ছিল রান্নাঘরের প্রধান একটি উপাদান। তবে বাজারে ধীরে ধীরে অন্যান্য ভোজ্য তেলের আধিক্ষ এবং দাম তুলনমূলক কম হয় এর ব্যবহার বেশি হয়েছে, যা স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়িয়েছে অনেক গুণ। তবে স্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে বর্তমান স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা আবার খাটিঁ সরিষার তেলের প্রতি ঝুকছে। নিয়মিত সব মজাদার রান্নার পাশাপাশি এটি মালিশের জন্যও ব্যবহৃত করা হয়। এই উপমহাদেশে এই তেলের ব্যবহার অনেক পুরনো। এটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। সরিষার দানা গুঁড়ো করে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত ৩ ধরনের সরিষা রয়েছে। রাই সরিষা, শ্বেতী সরিষা এবং মাঘি সরিষা। এর মধ্যে মাঘি সরিষা থেকে তৈরি ঘানি ভাঙ্গা প্রথম চাপের তেল স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারি ও খেতে সুস্বাদু ।
মাঘী সরিষার তেল সরিষা থেকে হলেও এই তেলের রং এমন কি ব্যবহারের সুবিধা ও পুষ্টিগুণ ভিন্ন হয়। কারণ হলো- সরিষার প্রকারভেদ আর তেল তৈরি পদ্ধতির কারণে। মাঘি সরিষা লালচে রঙের হয়। এ থেকে পাওয়া তেল কালচে সোনালী রঙের হয়। কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার না করলে এটা সাধারন সরিষার তেলের চেয়ে গাঢ় বর্ণের হয়। দাম অন্য দুই ধরনের সরিষার তেলের চাইতে চেয়ে বেশি। এই তেল খাবারের রঙ স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। ভাজাপোড়ার এ তেলের ব্যবহার স্বাদকে করে তোলে অতুলনীয়।
ঘানি ভাঙা তেল আর মিলে তৈরি তেল এর মাঝে পার্থক্য পরিমাণের, পুষ্টিগুণের আর মূল্যের। ঘানিতে ভাঙ্গা তেলে সরিষার পরিমাণ বেশি লাগে, পুষ্টিগুণ কিছুটা বেশি, ঘ্রাণ ও বর্ন প্রাকৃতিক এবং মূল্য বেশি।
Gulmarg Foods-এর কাঠের ঘানি ভাঙ্গা প্রথম চাপের দেশি সরিষার তেল কেনো ভালো? তেঁতুল কাঠের ঘানিতে কাঠের সাথে কাঠের ঘর্ষনের মাধ্যেমে সরিষা ভাঙ্গানো হয় যা চাপ কমিয়ে থাকে। এবং এই কম চাপের কারণে তাপও কম উত্পন্ন হয়। এই প্রকারে বের হওয়া তেলটি উত্কৃষ্ট মানের হয়।

✅ সরিষার তেলের উপকারিতা :

  • হজম প্রক্রিয়া: সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে।
  • সরিষার তেল ব্যথা কমায়: সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।
  • ক্যান্সার রোধ: এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
  • সরিষার তেল ফুসফুস পরিষ্কার রাখে: সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।
  • হৃদিপিন্ড সুস্থ রাখে সরিষার তেল: সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ক’রে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।
  • এজমা রোগে সরিষার তেল: এজমা এটাক (Asthma attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
  • ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেল: শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিলে সুফল পাওয়া যায়।
  • স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে: সরিষার তেল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে সহায়তা করে।
  • মাসিকের ব্যথা: মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।
  • পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানো: পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর জন্য ঔষধ হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধে পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না।
  • ওজন কমাতে সরিষার তেল: রিবোফ্ল্যাভিন (Riboflavin) ও নায়াসিন (Niacin) সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায়: সুস্থ দাঁত ও জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ প্রতিরোধে সরিষার তেল সহায়ক।

Document